অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কিনতে ইসরায়েলকে আরও ৩৫০ কোটি ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পর রাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধ চলাকালীন, কয়েক মাস আগেই এই অর্থ বরাদ্দ করে মার্কিন কংগ্রেস। সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তেজনা বাড়তে থাকায় এই অর্থ ছাড় দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর আইন প্রণেতাদের জানিয়েছে দিয়েছে, ইসরায়েলকে বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সামরিক অর্থ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
এপ্রিলে এ ধরনের একটি বিল পাস করেছিল কংগ্রেস। যেখানে ইসরায়েলের জন্য প্রায় ১৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার আসে সম্পূরক তহবিল থেকে। বিদেশি সামরিক অর্থায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই অর্থ ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে উন্নত অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম কিনতে ব্যবহার করতে পারে।
তবে অবিলম্বে ৩৫০ কোটি ডলার মূল্যের মার্কিন অস্ত্র পাবে না ইসরায়েল। বরং ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি সিস্টেমগুলো সংগ্রহ করতে হবে যা এখন তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া সম্পূরক তহবিল বিলিয়ন ডলার মূল্যের সরঞ্জামও বরাদ্দ করেছে, যা ইসরায়েলে সরাসরি নিজস্ব মজুদ থেকে পাঠাচ্ছে পেন্টাগন।
সম্প্রতি তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহতের পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছে ইরান ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এর পর থেকেই ইসরায়েলকে আরও অস্ত্র সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পেন্টাগন।
এদিকে সৌদি আরবের কাছে আক্রমণাত্মক অস্ত্র বিক্রির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইয়েমেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে সৌদিকে চাপ দিতে তিন বছর আগে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল জো বাইডেনের প্রশাসন। তবে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে আগামী সপ্তাহ থেকে আবারও অস্ত্র বিক্রি শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আকাশ থেকে ভূমিতে হামলা চালানোর মতো কিছু যুদ্ধাস্ত্র সৌদি আরবে বিক্রি-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। প্রচলিত অস্ত্র হস্তান্তর নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ধাপে ধাপে এসব অস্ত্র সৌদির কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
Source : CNN
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন