২০৩০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেছিল এয়ার নিউজিল্যান্ড। কিন্তু সম্প্রতি সে পরিকল্পনা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি। নতুন জ্বালানি সাশ্রয়ী উড়োজাহাজ ও বিকল্প জ্বালানির প্রাপ্যতার অভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এয়ার নিউজিল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী গ্রেগ ফোরান গতকাল জানান, উড়োজাহাজ বহরের পুনর্বিন্যাসের পরিকল্পনায় বিলম্বের আশঙ্কা লক্ষ্য অর্জনে অতিরিক্ত ঝুঁকি তৈরি করেছে। বিশ্বব্যাপী উড়োজাহাজ শিল্পে উৎপাদন ও সরবরাহ চেইনে বড় ধরনের সংকট পার করছে। এ কারণে বিদ্যমান বহরকে পরিকল্পনার চেয়ে বেশি সময় ধরে রাখতে হবে। কারণ জ্বালানিসাশ্রয়ী উড়োজাহাজ প্রবর্তনে বেশ ধীর গতি দেখা যাচ্ছে। তাই ইচ্ছা থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে জানান গ্রেগ ফোরান। এ কারণে ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা ও সায়েন্স বেজড টার্গেটস ইনিসিয়েটিভ (এসবিটিআই) নেটওয়ার্ক থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এয়ার নিউজিল্যান্ড। মূলত কার্বন নিঃসরণ কমাতে প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সংগতি রেখে এসবিটিআই উদ্যোগটি নেয়া হয়েছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, এয়ার নিউজিল্যান্ডের এ সিদ্ধান্ত থেকে সবুজ রূপান্তরের পক্ষে উড়োজাহাজ শিল্প কতটা চ্যালেঞ্জের মাঝে রয়েছে তা উঠে এসেছে। তবে এয়ার নিউজিল্যান্ডের চেয়ার থেরেসি ওয়ালশ বলেছেন, কোম্পানিটি ২০৫০ সালের মধ্যে নিট শূন্য কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্যে পৌঁছতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। (সূত্র:আল জাজিরা ও ছবি এপি)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন