‘যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ভঙ্গুর হয়ে হয়ে পড়েছে’

যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত লেবার পার্টির সরকার এক ঘোষণায় বলেছে, দেশটির অর্থনীতি ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। দেশটি ‘নিঃস্ব’ ও ‘ভগ্ন’ হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নতুন সরকারের অর্থমন্ত্রী। খবর: এপি। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার মূল্যায়ন তুলে ধরার আগে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। দেশে দুই হাজার কোটি পাউন্ডের ঘাটতি থাকার কথা গতকাল সোমবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের ভাষণে তুলে ধরার কথা অর্থমন্ত্রী রাচেল রিভসের। সেখানে এই আর্থিক ঘাটতির জন্য পূর্বসূরি কনজারভেটিভ পার্টির সরকারকে দোষারোপ করার চেষ্টা নেবে ক্ষমতাসীন নতুন বামপন্থি সরকার, যা কর বাড়ানোর পথ সুগম করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গত ৪ জুলাইয়ের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির জয়ের পর রিভস সরকারি ব্যয় মূল্যায়ন করে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিন সপ্তাহের ওই মূল্যায়নের পর কনজারভেটিভ পার্টির ১৪ বছরের শাসনামল শেষে পাওয়া আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে বিপর্যস্ত অবস্থার কথাই ঘেষণা করল স্টারমার সরকার। তারা বলছে, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যতটুকু খারাপ ধারণা করা হয়েছিল, সেটি তার চেয়েও খারাপ।
এর আগেও অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, সরকারি ব্যয়ের ক্ষেত্রে চলতি বছর তাকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং তিনি তার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রবৃদ্ধির গতি বাড়াতে তিনি একই সঙ্গে গৃহায়ন ও বায়ুকলের উন্নতির অর্গল খুলে দিতে চান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মূল্যায়নে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্য কপর্দকহীন হয়ে গেছে, ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতি ও জনসেবার ক্ষেত্রে জনবাদী রাজনীতি যে জগাখিচুড়ি অবস্থা তৈরি করেছে, তা-ই সামনে আসছে। আগের সরকার চলতি অর্থবছরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব খাতে অর্থ বরাদ্দের অঙ্গীকার করেছে, সেই অর্থ কোথা থেকে আসবে তা না জেনেই এ বিষয়টিও প্রকাশ্যে আসছে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।
কনজারভেটিভ পার্টি অবশ্য লেবারের মূল্যায়নে দেশের অর্থব্যবস্থায় এসব ‘কালো গহ্বর’ থাকার ঘোষণা নাকচ করেছে। তারা বলছে, কর বাড়ানোর জন্য অজুহাত হিসাবে লেবার পার্টি অর্থনৈতিক দুর্দশার কথা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বলছে। কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক এক মন্ত্রী বলেন, নতুন সরকার কর বাড়ানোর জন্য তারা এসব কথাই বলবে।