বৈশ্বিক তুলা উৎপাদন ২০৩৩ সালের মধ্যে দাঁড়াবে ২ কোটি ৯০ লাখ টনে। এ অনুযায়ী আগামী প্রায় এক দশকে বিশ্বব্যাপী কৃষিপণ্যটির উৎপাদন বাড়তে যাচ্ছে ২০২১-২৩ সালের গড় উৎপাদনের তুলনায় ১৭ শতাংশ।
সম্প্রতি যৌথ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে প্যারিসভিত্তিক অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।
প্রতিকূল জলবায়ু, যথার্থ কৃষি পদ্ধতির নিম্নমুখী ব্যবহার ও নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের সীমাবদ্ধতাসহ অন্যান্য কারণে দুই দশক ধরে বিশ্বব্যাপী তুলার ফলন স্থবির হয়ে পড়েছে। তবে ‘ওইসিডি-এফএও এগ্রিকালচার আউটলুক ২০২৩-২৪ রিপোর্ট’ নামের প্রতিবেদনে ওইসিডি ও এফএওর অনুমান, ২০৩৩ সালের মধ্যে চীন ও ব্রাজিলে তুলার ফলন বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় দ্বিগুণ হতে পারে।
সংস্থা দুটি জানায়, ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ভারতে উৎপাদন বাড়তে পারে ৩৮ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ২৭ শতাংশ ও ব্রাজিলে বাড়তে পারে ২১ শতাংশ। এছাড়া এ সময় তুলার বৈশ্বিক গড় ফলন বাড়তে পারে ১১ শতাংশ।
আরো জানায়, ২০৩৩ সালের মধ্যে শীর্ষ তুলা উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও পাকিস্তান যৌথভাবে বৈশ্বিক উৎপাদনের প্রায় ২৭ শতাংশ তুলা উৎপাদন করতে পারে।
ওইসিডি ও এফএওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৩৩ সালের মধ্যে তুলার উৎপাদনশীলতা ও স্থায়িত্ব বাড়াতে উল্লেখযোগ্যভাবে ভূমিকা রাখবে জেনেটিকসের উন্নতি, উন্নত কৃষিচর্চা ও ডিজিটালাইজেশন।
এছাড়া এ সময় নির্ধারিত ভিত্তিকালের তুলনায় বিশ্বব্যাপী তুলার আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ বাড়তে পারে ৬ শতাংশ। এ সময় ব্রাজিলে আবাদযোগ্য জমি বাড়বে ২০২১-২৩ সালের গড়ের তুলনায় ২৩ শতাংশ, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। ক্রমবর্ধমান রফতানির সম্ভাবনা উৎপাদনকারী দেশগুলোয় উৎপাদন বাড়াতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করবে।
চীনে ২০২১-২৩ সাল পর্যন্ত তুলার হেক্টরপ্রতি গড় ফলন হয়েছে ১ দশমিক ৯ টন, যা বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। তবে দুই দশক ধরে সরকারি নীতি পরিবর্তনের কারণে দেশটিতেও তুলার আবাদ কমেছে। ওইসিডি ও এফএওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৩৩ সাল পর্যন্ত চীনে তুলা চাষের আওতাধীন এলাকা ভিত্তিকালের তুলনায় দশমিক ৪ শতাংশ কমে যেতে পারে, গত এক দশকে যা ছিল ৩ শতাংশ। তবে আবাদযোগ্য জমি কমলেও তুলার উৎপাদন এ সময় স্থিতিশীল থাকতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগও (ইউএসডিএ) বিশ্বব্যাপী ২০২৪-২৫ মৌসুমে তুলা উৎপাদন ও মজুদ বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। এ সময় বিশ্বব্যাপী তুলার সমাপনী মজুদ ৮ কোটি ৩৫ লাখ বেলে (প্রতি বেল ৪৮০ পাউন্ড) পৌঁছতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা মে মাসের তুলনায় ৪ লাখ ৮০ হাজার বেল বেশি। এছাড়া ইউএসডিএ ২০২৪-২৫ মৌসুমে বিশ্বব্যাপী তুলা উৎপাদন আগের পূর্বাভাস থেকে ৯০ হাজার বেল বেড়ে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৪০ হাজার বেলে পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছে। (খবর ফাইবারটুফ্যাশন)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন