ভারতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) প্রাইভেট ইকুইটি (পিই) বিনিয়োগের পরিমাণ আগের প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) তুলনায় প্রায় ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। ডাটা অ্যানালাইসিস প্রতিষ্ঠান এলএসইজি ডিলস ইন্টেলিজেন্সের হিসাব অনুযায়ী, জুনে শেষ হওয়া প্রান্তিকে দেশটিতে পিই বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৩৬৪ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে এ ধরনের বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২০৮ কোটি ডলার।
এলএসইজির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে গত অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম প্রান্তিকে পিই বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২৮০ কোটি ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে পিই বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৩১ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে ইন্টারনেট, কম্পিউটার সফটওয়্যার ও আর্থিক সেবা খাতে।
তবে চলতি পঞ্জিকাবর্ষের প্রথম ছয় মাসে পিই বিনিয়োগের পরিমাণ আগের পঞ্জিকাবর্ষের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। চলতি পঞ্জিকাবর্ষের প্রথম ছয় মাসে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৫৭২ কোটি ডলার, যা আগের পঞ্জিকাবর্ষের একই সময়ে ছিল ৫৯৩ কোটি ডলার।
পিই বিনিয়োগসংক্রান্ত চুক্তির সংখ্যাও সর্বশেষ প্রান্তিকে ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে চুক্তির সংখ্যা ছিল ২৯৯, যেখানে জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ছিল ২৯১টি। কিন্তু গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এবার চুক্তির সংখ্যা ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে চুক্তির সংখ্যা ছিল ৩৫৩।
এলএসইজি ডিলস ইন্টেলিজেন্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ইলেইন টান বলেন, ‘ভারতে পিই বিনিয়োগের পরিমাণ গত অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছিল। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৩৬০ কোটি ডলার, যা আগের (এপ্রিল-জুন) প্রান্তিকের চেয়ে প্রায় ৭৫ শতাংশ বেশি ছিল।
ইলেইন টান জানান, চলতি পঞ্জিকাবর্ষের প্রথম ছয় মাসে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে মোট পিই বিনিয়োগের ২২ শতাংশ হয়েছে ভারতের বাজারে। গত বছরের একই সময়ে এ হার ছিল ১৯ শতাংশ। তবে পিই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারতের বাজার এখনো সংকটের মধ্যে রয়েছে বলে মনে করেন ইলেইন টান।
তিনি বলেন, ‘ভোক্তার ক্রমবর্ধমান বাজার ভারতের পিই বিনিয়োগের জন্য সম্ভাবনা তৈরি করেছে। বিশেষ করে প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে পিই বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।’
সূত্র : দ্য হিন্দু।
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন