জাপান ও জার্মানির নেতারা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি নতুন দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ কাঠামো তৈরি করতে সম্মত হয়েছেন। চীনের মোকাবিলা করাই হচ্ছে এই পদক্ষেপের লক্ষ্য, যাকে পশ্চিমা দেশগুলো অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগের জন্য অভিযুক্ত করে থাকে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, গতকাল শুক্রবার বার্লিনে প্রায় ৪০ মিনিটের এক বৈঠকে মিলিত হন। তারা এই দৃষ্টিভঙ্গি ভাগাভাগি করে নেন যে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন এবং চীন ও উত্তর কোরিয়ার সাথে ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের আলোকে ইউরো-আটলান্টিক এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা আসলে অবিচ্ছেদ্য।
গতকাল শুক্রবার, জাপানের আত্মরক্ষা বাহিনী এবং জার্মানির সেনাবাহিনীর মধ্যে সরবরাহ ও পরিষেবা সংক্রান্ত একটি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। অধিগ্রহণ এবং ক্রস-সার্ভিসিং চুক্তি নামে পরিচিত এই চুক্তির ভিত্তিতে কিশিদা ও শোলজ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি করে নিতে সম্মত হন।
এছাড়া তারা, গুরুত্বপূর্ণ খনিজের সরবরাহ শৃঙ্খল তৈরি এবং সেমিকন্ডাক্টরের উন্নয়ন ও উৎপাদন’সহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য একটি নতুন কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতেও সম্মত হন।
কিশিদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গত বছরের জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে জারি করা একটি ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে যে, শিল্পোন্নত দেশগুলোর এই জোট “চীনের অবাজার নীতি এবং অনুশীলনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জসমূহ, যেগুলো বিশ্ব অর্থনীতিকে বিকৃত করে, সেগুলোকে মোকাবিলা করার চেষ্টা করবে”।
জাপান ও জার্মানি, তাদের শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গত বছর আন্তঃসরকার আলোচনা শুরু করে। কিশিদা এবং শোলজ নিশ্চিত করেছেন যে এই আলোচনার দ্বিতীয় দফা আগামী বছর জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হবে। ( Source: NHK World Japan)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন