রুয়ান্ডার জৈব অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে মাশরুম – The Finance BD
 ঢাকা     বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন

রুয়ান্ডার জৈব অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে মাশরুম

  • ১৩/০৭/২০২৪

রুয়ান্ডায় চাষযোগ্য জমি খুবই সীমিত। গোটা দেশে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়। দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ড. কামানা অলিভিয়ার মতে, আমাদের বর্তমান ভূমিসম্পদ যে ভবিষ্যতে নাগরিকদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে, সেটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও আমাদের বাস্তব সমাধানসূত্র খুঁজতে হবে। মাশরুম চক্রাকার জৈব অর্থনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ রাখে। দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে শস্যের অবশিষ্ট অংশের নেতিবাচক প্রভাব কমাতেও সেটি সমাধান হিসেবে কাজে লাগে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের মতে, মাশরুম ক্ষেতের নিচের স্তরে বর্জ্য ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে, খড় গাজন করে মাশরুম ক্ষেতে ছড়ানো হয়। অতীতে কৃষকরা খড় পুড়িয়ে বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিতেন।
দেশটির গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক মাত্রায় কৃষি বর্জ্য রয়েছে, যা মাশরুমে পরিণত করা যেতে পারে। সেই কাজ শুরু করার পাঁচ থেকে ছয় বছর পর অনেক কৃষক বাটন মাশরুম চাষ করেছেন। বিশ্বে বাণিজ্যিকভাবে মাশরুমের চাষের প্রায় ৯০ শতাংশই এ জাতের হয়। কিন্তু রুয়ান্ডায় সেই মাশরুমের চাষ একেবারেই হতো না। পুরো আফ্রিকা মহাদেশেও সেই মাশরুমের হার খুব কম।
বিনিয়োগ, জমি ও শ্রমের নিরিখে সামান্য উদ্যোগের কারণে মাশরুম চাষ রুয়ান্ডার সমাজে অনেক উপকার বয়ে আনছে বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে কার্বন নির্গমন কমাতে ও জমির মান বাড়াতেও সাহায্য করে। কৃষক নিরানসাবাবেরা আদেলা মনে করেন, মাশরুম চাষের প্রতি আমার ঝোঁকের পেছনে অনেক ভালো ঘটনা রয়েছে। ফলনের জন্য প্রায় তিন মাস সময় লাগে। ফসল তোলার পরেও জমির উপরিভাগের উৎপাদন ক্ষমতা থেকে যায়। আমরা সেই মিশ্রণকে উচ্চ মানের সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারি, যা বিশেষ করে শাকসবজি চাষের জন্য আদর্শ। ফলে ভালোই ফসল হয়। অন্যান্য সারের মতো এ স্তর মোটেও মাটির মানের অবনতি করে না।
সূত্র: ডয়চে ভেলে।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us