কার রেসিং মানেই ক্ষিপ্রগতিতে ছুটে চলার সঙ্গে উচ্চ শব্দ ও ধোঁয়া উড়বে, পিচে ফুটে উঠবে টায়ার ঘষা দাগ। হাল দুনিয়ায় অতিচর্চিত গ্রিন এনার্জির সঙ্গে এর সখ্য যেন দূরের কোনো বিষয়। কিন্তু চিরাচরিত এ চিত্রে আসতেও পারে বড় মাপের পরিবর্তন। মার্কিন অটোমোবাইল রেসিং সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর স্টক কার অটো রেসিং (ন্যাসকার) তেমন একটি বিদ্যুচ্চালিত রেসিং কার সামনে এনেছে। দ্রুতগতির গাড়ির মধ্যে প্রতিযোগিতা বাঁধানোর জন্য সুপরিচিত সংস্থাটি সম্প্রতি জানিয়েছে, বিদ্যুচ্চালিত এসইউভি যুক্ত হচ্ছে ন্যাসকারে। এ ইভিগুলো প্রচলিত গ্যাসচালিত এসইউভির তুলনায় দ্বিগুণ ক্ষমতাসম্পন্ন হবে। অবশ্য সংস্থাটি জানিয়েছে, এটি একটি পরীক্ষামূলক বিদ্যুচ্চালিত যান। তবু ন্যাসকারের নতুন এ সংযোজন ইভির উত্থানেরই প্রতিফলন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইভি হলেও গাড়ির বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রথম দেখায় আলাদা করে বোঝার উপায় নেই। কারণ এটি অন্যান্য রেসিং কারের মতো বেশ রঙচঙা ও সাজানো-গোছানো। সেই সঙ্গে উচ্চ গতিতে চলার সময় রাস্তার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে এতে যুক্ত রয়েছে বড় হুইল ও ডানা। ন্যাসকার সবচেয়ে বেশি পরিচিত তাদের উচ্চ শব্দের ভলিউম-৮ ইঞ্জিনের জন্য। এ ইঞ্জিনই গাড়িগুলোকে চালিত করে। ন্যাসকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিগগিরই জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত ইঞ্জিন থেকে দূরে সরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের। সদ্য উন্মোচিত ইলেকট্রিক রেসিং কারটি একটি পরীক্ষামূলক গাড়ি। নতুন এ রেসিং ক্রসওভারে তিনটি বৈদ্যুতিক মোটর রয়েছে। যার একটি সামনের চাকা এবং দুটি পেছনের চাকা পরিচালনা করে। এগুলো সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩০০ হর্সপাওয়ার উৎপাদনে সক্ষম, যা ন্যাসকারের গ্যাসচালিত গাড়ির প্রায় দ্বিগুণ। বর্তমানে ন্যাসকারের গাড়িগুলো ৮৫ শতাংশ গ্যাসোলিন ও ১৫ শতাংশ ইথানলমিশ্রিত জ্বালানিতে চলে। তবে আগামী কয়েক বছরে ন্যাসকার আরো টেকসই রেসিং জ্বালানির ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছে, যা উচ্চ শব্দের ভলিউম-৮ ইঞ্জিনে চালানো যাবে।
সূত্র: সিএনএন
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন