চাল বাণিজ্যে ভিয়েতনামের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চায় ফিলিপাইন। দেশে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে ফিলিপাইনের কৃষি সচিব ফ্রান্সিসকো টিউ লরেল ভিয়েতনাম সফরকালে এ ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ভিয়েতনামের মেকং ডেল্টা প্রদেশের পিপলস কমিটি। খবর রয়টার্স।
ভিয়েতনামের অন্যতম প্রধান ধান উৎপাদনকারী অঞ্চল আন গিয়াং। পিপলস কমিটির বিবৃতি অনুযায়ী, টিউ লরেল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশ সফরকালে অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছেন। অন্যদিকে ফিলিপাইনের কৃষি সচিব ভিয়েতনামের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠকে জানান, ‘ফিলিপাইনের জনসংখ্যা বছরে ১ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। এ কারণে দেশে চালের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী। তবে সে অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত চাল দিয়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে ফিলিপাইনের আমদানি আরো বাড়াতে হবে।’
টিউ লরেল বলেন, ‘আমি চাই ভিয়েতনামের চাল কোম্পানিগুলো ফিলিপাইনে বিনিয়োগের বিষয়ে বিবেচনা করুক।’ গত জানুয়ারিতে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে একটি রাষ্ট্রীয় সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে চাল বাণিজ্য ও কৃষি সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র।
ভিয়েতনাম বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম চাল রফতানিকারক দেশ। ফিলিপাইন সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এ দেশ থেকে চাল আমদানি বাড়িয়েছে। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ভিয়েতনাম মোট চাল রফতানির ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ রফতানি করেছে।
এদিকে মুদ্রাস্ফীতির চাপ সামলাতে ফিলিপাইন সম্প্রতি চাল আমদানি শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে। (সূত্র:রয়টার্স)
ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন