ব্যুরো অব মাইনস পুনরুজ্জীবিত করতে চান যুক্তরাষ্ট্রের খনি শ্রমিকরা – The Finance BD
 ঢাকা     সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন

ব্যুরো অব মাইনস পুনরুজ্জীবিত করতে চান যুক্তরাষ্ট্রের খনি শ্রমিকরা

  • ০৮/০৭/২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের খনিজ উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ ও সমর্থন পর্যবেক্ষণ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে খনির বাণিজ্য সংস্থাগুলো ব্যুরো অব মাইনসকে পুনরুজ্জীবিত ও প্রসারিত করতে ওয়াশিংটনের ওপর চাপ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক রাজনৈতিক সম্মেলনকে সামনে রেখে চলতি মাসে শুরু হতে যাচ্ছে এ খনি পুনরুজ্জীবিত করার কর্মসূচি। এ প্রচেষ্টার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তিনটি সূত্রের মতে, এটি অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের খনি তদারকির তুলনা করবে।
লিথিয়াম, তামা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলো ইলেকট্রনিকস শিল্পে ব্যবহত হয় এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য আগামী বছরগুলোয় এর চাহিদা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উৎপাদক বা প্রক্রিয়াজাতকারী দেশ হিসেবে চীন বিশ্বে বৃহত্তম অবস্থান ধরে রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের খনিনীতি বর্তমানে বুরো অব ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস এবং দ্য মাইন সেফটি অ্যান্ড হেলথ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ একাধিক সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
ব্যুরো অব মাইনস ১৯৯৬ সালে বাজেট স্বল্পতার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। খনি শ্রমিকরা এটি পুনরুজ্জীবিত করতে ওয়াশিংটনের কাছে কিছু যুক্তি তুলে ধরেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সরকার গবেষণা তহবিল, শিল্প অনুদান ও ঋণের জন্য একটি সমন্বিত খনিজ নীতি তৈরি করার অনুমতি দিলে তা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে আরও ভালো প্রতিযোগিতা তৈরিতে সহায়তা করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড মাইনিং অ্যাসোসিয়েশন ও সোসাইটি ফর মাইনিং, মেটালার্জি অ্যান্ড এক্সপ্লোরেশনের (এসএমই) পাশাপাশি এ শ্রমিকদের নেতৃত্বদানকারী ন্যাশনাল মাইনিং অ্যাসোসিয়েশন ট্রেড গ্রুপের হেড রিচ নোলান বলেন, খনির সিদ্ধান্তগুলো এখন একাধিক সরকারি সংস্থার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই এর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি খুব কঠিন হয়ে উঠেছে।
একটি সূত্র বলছে, খনি-সম্পর্কিত গবেষণা পরিচালনাকারী শিক্ষাবিদ ও এ খাতের কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান এসএমই সমস্যা সম্পর্কে একটি যুক্তিপূর্ণ মতামত উপস্থাপন করছে, যা অন্য দুটি গ্রুপ কংগ্রেসের সদস্যদের প্রভাবিত করতে সাহায্য করবে। সূত্রটি আরও বলেছে, দলগুলো স্বীকার করেছে যে এ বছর তাদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে ২০২৫ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত চলা পরবর্তী কংগ্রেসে তারা সফল হওয়ার আশা করছে। পুনরুজ্জীবিত ব্যুরোর কী পরিমাণ তহবিলের প্রয়োজন হবে, তার স্পষ্ট ধারণা এখনও পাওয়া যায়নি।
সূত্র : রয়টার্স।

ক্যাটাগরিঃ অর্থনীতি

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us