কক্সবাজারের সীমান্তের ওপাশে মিয়ানমারে ফের গোলাগুলির শব্দ – The Finance BD
 ঢাকা     বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজারের সীমান্তের ওপাশে মিয়ানমারে ফের গোলাগুলির শব্দ

  • ১৭/০৪/২০২৪

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের চলমান যুদ্ধে গোলার বিকট শব্দ আবারও ভেসে আসছে বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে। এই নিয়ে বাসিন্দারা আতঙ্কে আছেন। অন্যদিকে যুদ্ধে টিকতে না পেরে গত মঙ্গলবার রাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে দেশটি নিরাপত্তা বাহিনীর আরও ৪৬ জন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার রাতে নতুন করে আরও ৪৬ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছে। এ নিয়ে ২৬০ জন বাংলাদেশে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এদিকে, আজ বুধবার সকাল থেকে থেমে থেমে টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় রাখাইনের বোমা ও মর্টারশেলের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কের আশপাশে গোলার শব্দে স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। সীমান্তবর্তী পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে এই সীমান্তে গোলার বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। মনে হচ্ছে বাড়ির পাশে যুদ্ধ চলছে। মাঝখানে বন্ধ থাকলেও গতকাল বুধবার সকাল থেকে গোলার বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। সীমান্তে বসবাসকারীরা বলছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির লড়াই ও গোলাগুলির শব্দে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যংয়ের উত্তর পাড়া, লম্বাবিল, উলুবনিয়া, জিম্মখালী ও নয়াবাজার, হ্নীলা, শাহপরীর দ্বীপ, পৌরসভার জালিয়া পাড়াসহ বেশ কয়েকটি সীমান্তে তারা আতঙ্কিত। শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা ইয়াছিন বলেন, গতকাল বুধবার সকাল থেকে সীমান্তের লোকজন রাখাইনে গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন। নাফ নদে সীমান্তের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, সকাল থেকে সীমান্তে ভারী গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। অন্যদিনের তুলনার আজকের গোলার শব্দ বিকট। এদিকে, মিয়ানমার মংডু ও বুথেডংয়ে আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদে ও সীমান্ত সড়কে বিজিবি ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড টহল বৃদ্ধি করেছে। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত বিজিবি ও কোস্টগার্ড। এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের সদর দফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, রাখাইনে সংঘাতের কারণে কিছু বিজিপির সদস্য এপারে আশ্রয় নিয়েছে বলে শুনেছি। তবে আমরা নাফ নদ দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে টহল জোরদার রেখেছি। পাশাপাশি যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোস্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে, এর আগে রাখাইনে চলমান সংঘর্ষে গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির সেনাসহ ৩৩০ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। পরে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়। এ ছাড়া গত ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন ১৭৯ জন মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য। এ নিয়ে মিয়ানমারের বিভিন্ন বাহিনীর ২৬০ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

ক্যাটাগরিঃ সারাদেশ

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us