যে প্রক্রিয়ায় মুক্তিপণ যায় জলদস্যুদের হাতে – The Finance BD
 ঢাকা     সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ অপরাহ্ন

যে প্রক্রিয়ায় মুক্তিপণ যায় জলদস্যুদের হাতে

  • ১৭/০৩/২০২৪

সোমালিয়ার উপকূলে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর মুক্তির বিষয়ে জলদস্যুরা এখনো যোগাযোগ করেনি। গতকাল শনিবার প্রথমবারের মতো জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র জিম্মি ২৩ নাবিকের সঙ্গে বাইরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছে দস্যুরা।

সাধারণত দস্যুরা নাবিক ও জাহাজ নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নেওয়ার পর সময় নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের জিম্মি ঘটনায় মুক্তিপণের বিষয় তিন ধাপে আলোচনা হয়। জাহাজের মালিকপক্ষ যোগাযোগ করে বীমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। বীমা প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারী ঠিক করে। তারা যোগাযোগ করে জলদস্যুর প্রতিনিধির সঙ্গে। তিন পক্ষ আলোচনা করে মুক্তিপণের অঙ্ক ও প্রদানের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মুক্তিপণের অর্থ পাঁচ ভাগে ভাগ হয়। জলদস্যুরা নিজেদের মধ্যে তিন স্তরে ভাগ করে। এক ভাগ যায় মধ্যস্থতাকারী ও মুক্তিপণের অর্থ পরিবহনকারী গ্রুপের কাছেও। ১৪ বছর আগে এ প্রক্রিয়াতেই ‘এমভি জাহান মণি’ জাহাজের নাবিকরা মুক্ত হয়েছিলেন।

এমভি জাহান মণির মুক্তিপণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম। এবারও তিনি জাহাজ মালিকের হয়ে বীমা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানা গেছে।

কেএসআরএমের মুখপাত্র ও মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিপণের অর্থ আদায় ও বণ্টনে একটি ছক রয়েছে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে আমরা এ ছকেই হাঁটছি।’

ক্যাটাগরিঃ জাতীয়

ট্যাগঃ

মন্তব্য করুন

Leave a Reply




Contact Us