পেশির চোটের কারণে লিওনেল মেসি খেলবেন না, সেটা আগেই জানা গিয়েছিল। মেজর লিগ সকারে ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচটাতে তাই কিছুটা চাপে পড়েছিল ইন্টার মায়ামি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত তাকে ছাড়া সাত ম্যাচ খেলে কোনোটিতেই জয় পায়নি মায়ামি। তবে এবার আর তার অভাব বুঝতে দেননি সতীর্থরা। মেসিহীন মায়ামি পেয়েছে প্রথম জয়ের দেখা।
মেসির দীর্ঘদিনের সতীর্থ ও বন্ধু লুইস সুয়ারেজ একাই যেন চাপ সামলে নিলেন। জোড়া গোল করে ইন্টার মায়ামিকে সুয়ারেজ এনে দিয়েছেন ৩-১ ব্যবধানের দারুণ এক জয়। মায়ামিতে এসে দারুণ শুরু পাওয়া সুয়ারেজের গোল এখন ৭ ম্যাচে ৬ টি।
ডিসি ইউনাইটেডের যদিও শুরুটা ভালো হয়নি মায়ামির। মাত্র ১৪ মিনিটে গোল হজম করে বসে তারা। দলকে এগিয়ে দেন জারেড স্টুরোড। তবে ২৪ মিনিটে লিওনার্দো কাম্পানার গোলে ম্যাচে সমতা ফেরে মায়ামি। ১-১ সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬২ মিনিটে রবার্ট টেলরের বদলি হিসেবে সুয়ারেজকে মাঠে নামান কোচ জেরার্দো মার্তিনো। মাঠে নেমে নিজের প্রভাব বোঝাতে ১০ মিনিটের বেশি লাগেনি সুয়ারেজের। অসাধারণ এক দলীয় আক্রমণ থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন এ উরুগুয়ান স্ট্রাইকার। ৮৫ মিনিটে সেই স্কোরলাইন ৩-১ করেন সুয়ারেজই। এবার বক্সের ভেতর তিন ডিফেন্ডারের ফাঁদ এড়িয়ে বার ঘেঁষে শট নেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। গোলকিপার বলে হাত লাগিয়েও শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারেনি গোল।
এ জয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সে শীর্ষ স্থানেই থাকল মায়ামি। ৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১০।
ম্যাচ শেষে দলের জয় নিয়ে উচ্ছ্বসিত কোচ মার্তিনো বলেছেন, ‘দল যেভাবে প্রথম ১৫ মিনিটের ধাক্কা সামলেছে, আমার ভালো লেগেছে। আমার মনে হয়, প্রথম ১৫-২০ মিনিটের পর ম্যাচটা আমরা ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। জয় আমাদের প্রাপ্য ছিল।’
চোট কাটিয়ে মেসি কখন ফিরতে পারেন, জানতে চাইলে মার্তিনো বলেছেন, ‘এটা স্পষ্ট যে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে তাকে (মেসিকে) কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলানো। আমরা তাকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেব না।’
কনক্যাকাফের কোয়ার্টার ফাইনালে আগামী ৩ এপ্রিল মন্টেরির মুখোমুখি হবে ইন্টার মায়ামি।
ট্যাগঃ ইন্টার মায়ামি ফুটবল লিওনেল মেসি
মন্তব্য করুন