রমজান এলেই মূল্যবৃদ্ধির যেন প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন ব্যবসায়ীরা। এবারো রমজানে নিত্যপণ্যের চড়া দাম কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সরবরাহ কম, ভ্যাট বেশি, ডলার সংকটের মতো নানা অজুহারে পণ্যের দাম বাড়িয়েই চলছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এর জেরে গতকাল শুক্রবার গরুর মাংস, ছোলা, ব্রয়লার মুরগিসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দেয় সরকার। তবে শনিবার বাজারঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ পণ্য নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। যেসব পণ্যের দাম কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল তা আগের বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে, আর যেসব পণ্যের দাম আগে থেকেই কম ছিল তা একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ভোক্তা পর্যায়ে ১৭৫ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা দরে বিক্রির কথা থাকলেও ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, গতকালও তারা ১৮৫ টাকা দরে পাইকারি কিনেছেন, তাই তারা খুচরা ২১০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন।
মুগডাল ১৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রির কথা থাকলেও শনিবার এই পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে। খুচরা বাজারে ছোলার দাম ৯৮ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে দুইটি মাছের দাম বেঁধে দেয় সরকার। চাষের পাঙাশ ১৮০ টাকা ও কাতলা ৩৫৩ টাকা দাম নির্ধারণ করে দেয়। তবে আগে থেকেই পাঙ্গাশ ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাতল মাছও আগে থেকে সাড়ে ৩শ দরে বিক্রি হচ্ছিল।
সরকার নির্ধারিত দাম নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ভোক্তার মধ্যে। পাঙ্গাশ মাছ কিনতে আসা এক ভোক্তা বলেন, কোথায় সরকার জিনিসের দাম কমাবে, তা না করে আরও বাড়াই দিচ্ছে। পাঙ্গাশ তো ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হইতো, সেইটা ১৮০ টাকা কেমনে নির্ধারণ করে বলেন।
বাজার করতে আসা আরেক ক্রেতা বলেন, সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দেয়, তা শুধু গণমাধ্যমেই দেখতে পাই, বাজারে এর বাস্তবায়ন তো দেখি না।
এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামের কোনো নির্দেশনা তাদের কাছে পৌঁছায়নি। তাই তারা আগের দামেই পণ্য বিক্রি করছেন। তবে অনেক বিক্রেতার দাবি, নতুন দামে পাইকারি বাজার থেকে তারাও পণ্য কিনতে পারেননি। তাই বাড়তি দামেই তারা বিক্রি করছেন পণ্য।
ক্যাটাগরিঃ ব্যবসা-বাণিজ্য
ট্যাগঃ দাম বৃদ্ধি নিত্যপণ্য
মন্তব্য করুন