বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। বর্তমানে সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুদের কবলে রয়েছে জিম্মি জাহাজটি।
এবার সোমালিয়ার জলদস্যুদের আরেকটি ছিনতাই প্রচেষ্টা রুখে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। খবর এনডিটিভি।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মাল্টার পতাকাবাহী ছিনতাই হওয়া জাহাজ এমভি রুয়েন ব্যবহার করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালিয়েছিল জলদস্যুরা। ভারতের নৌবাহিনী সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ভারতীয় নৌবাহিনী জানায়, সোমালি জলদস্যুদের কাছে থাকা এমভি রুয়েনকে ১৫ মার্চ ভারতীয় নৌবাহিনী বাধা দেয়। সেই জাহাজের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের সময় তারা ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে আত্মরক্ষা ও জলদস্যুতা মোকাবিলায় এবং জাহাজ ও নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জলদস্যুদের নিষ্ক্রিয় করতে ন্যূনতম শক্তি প্রয়োগ করা হয়।’
পোস্টে আরও বলা হয়, মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজটিকে ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। জলদস্যু কর্মকাণ্ড পরিচালনার উদ্দেশ্যে জাহাজটি গভীর সমুদ্রের দিকে যাচ্ছে জানতে পেরে ভারতীয় নৌবাহিনী সেটিকে বাধা দেয়।
ভারতীয় নৌবাহিনী এমভি রুয়েনে থাকা জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ এবং কোনো বেসামরিক জিম্মি থাকলে তাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানায়। কিন্তু জলদস্যুরা আত্মসমর্পণ করেছে কি না, কিংবা জাহাজটিতে কোনো বেসামরিক নাগরিক ছিল কি না সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি ভারতীয় নৌবাহিনী।
বাংলাদেশের পতাকাবাহী বাল্ক ক্যারিয়ার এমভি আবদুল্লাহর ছিনতাইয়ের পর একটি এসওএস কলেও ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা সাড়া দিয়েছিল।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভালফোর্সের ধারণা, বাংলাদেশের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করতেও একই বাল্ক ক্যারিয়ার রুয়েন ব্যবহার করেছে জলদস্যুরা।
ক্যাটাগরিঃ আন্তর্জাতিক
ট্যাগঃ
মন্তব্য করুন